বর্ধমানের কার্জন গেটের কাছেই পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের শাখা। সেখানেই দিনের বেলা বন্দুক উঁচিয়ে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালিয়েছিল ডাকাতদল। শুক্রবারের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে চলে এসেছিলেন জেলার পুলিশ সুপার সহ পদস্থ কর্তারা। স্পেশাল ইনভেশটিগেশন টিম তৈরির ব্যাপারেও জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। এদিকে তারপর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ।
তবে পুলিশ ঘটনার পরেই বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে। বর্ধমান স্টেশনেও তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গাড়ি থামিয়েও চলে তল্লাশি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু আচমকাই যেন উবে গিয়েছে আস্ত ডাকাত দল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, বিসি রোড ধরে হেঁটে তারা কার্জন গেটে যায়। সেখান থেকে সম্ভবত বাইকে চেপেছিল। তারপর কোথায় গেল তারা? কাছেই তো ট্রাফিক পুলিশ ছিল। তাদের সামনে দিয়েই দিব্যি চলে যায় ডাকাতদল।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির সময় একাধিক গ্রাহকও হাজির ছিলেন ব্যাঙ্কে। তাদের মোবাইল পাশে রেখে দিতে বলেছিল ডাকাতদল। এরপর শুরু হয় লুঠপাট। গ্রাহকদের সঙ্গেও এব্যাপারে কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ডাকাতদল সম্পর্কে যাবতীয় বিবরণও দিয়েছেন গ্রাহক ও ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, কোথায় গা ঢাকা দিল ডাকাতদল? এদিকে তাদের পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। হাতে ছিল বন্দুক। হিন্দিতে কথা বলছিল। তবে কি তারা ভিনরাজ্য থেকে এসেছিল? অপারেশন শেষ করে বর্ধমানের ভিড়ে কি তারা মিশে গিয়েছে? এরপর পগার পার?