রাজ্যে তৃণমূলকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে গেলে মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে সবার একজোট হওয়া উচিত।
পাঁচ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার বিষ্ণুপুর পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুকে পাশে বসিয়েই তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এটা বলা যায় না। তবুও একটা কথা বলছি। তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে তখন সবাই একজোট হয়েছিল। সিপিএমকে হারানোর জন্য। কংগ্রেস, তৃণমূল... বিজেপি তখন খুব ছোট ছিল কিন্তু বিজেপি পিছন থেকে সমর্থন করেছে। অস্বীকার করে লাভ নেই। এই রকম একটা শক্তিকে হারাতে গেলে সবার একসঙ্গেই আসা উচিত। কিন্তু অনুষ্ঠানিকভাবে এটা আমি বলতে পারছি না। মতাদর্শগতভাবে হয়তো আমরা আলাদা হতে পারি, থাক সেই জায়গাটা। কিন্তু এই শক্তিকে হারানোর জন্য সবাইকে একজোট হতেই হবে’।
এর আগে রাজ্যের বামপন্থীদের একই রকম আহ্বান জানাতে শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রচারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন ৭৫ বছরে এই দৃশ্য কেউ দেখেননি। তাই সিজিও গিয়ে লাভ নেই বামপন্থী বন্ধুরা। যেতে যদি সত্যিই চান তবে আমাদের সাথে ১৩ তারিখে নবান্ন চলুন। তার কারণ সবাই বলছে পার্থ কেষ্ট চুনোপুটি। সব খেয়েছে হাওয়াই চটি। উনি কোথায় বসে? চোরেদের রানিকে ১৪ তলা থেকে টেনে নামাতে গেলে নবান্নতেই যেতে হবে। যদিও এব্যাপারে বামেদের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।