আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে। সেই আন্দোলনের মাঝেই মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসে আবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে মিলল মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। বাঁকুড়ার রাইপুর থানার মটগোদা এবং বারিকুল থানার ফুলকুসমা এলাকার নানা জায়গায় সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা এই পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়ে আলোড়ন।
আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চারিদিকে নানা অনুষ্ঠান চলছে। এই আবহে এমন পোস্টার নতুন করে হিংসার আতঙ্ক তৈরি করেছে। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সোচ্চার হয়েছে গোটা বাংলা। তারপরই এমন পোস্টার ওই ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করছে। যদিও পোস্টারে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোন কারণে আবার নতুন লড়াইয়ের ডাক দেওয়া হচ্ছে? আবার কি জঙ্গলমহল রক্তাক্ত হবে? ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই, আরজি কর হাসপাতালের তিন ডাক্তারকে তলব
এখন আরজি কর হাসপাতালের তদন্ত করছে সিবিআই। তার মধ্যে এমন মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সামনে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বাঁকুড়ায়। অনেকদিন ধরেই মাওবাদীদের আর কোনও দাবি শোনা যায়নি। এমনকী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন বা বড় কোনও হিংসা তারা ঘটায়নি। ফলে আপাত শান্ত ছিল জঙ্গলমহল। সেখানে হঠাৎ করে স্বাধীনতা দিবসের দিনকে বেছে নিয়ে এই পোস্টার ফেলায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্টারে রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আবার লড়াইয়ে নামার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টারে সিপিআই মাওবাদী নামের উল্লেখ রয়েছে।
কী লেখা রয়েছে ওই পোস্টারে? এই পোস্টারে লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যে দুর্নীতি তা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। তাই আবার নতুন করে লড়াইয়ে নামছি।’ এই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারগুলির সঙ্গে মাওবাদীদের প্রকৃত কোনও যোগ নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় ওই সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতী শুধু আতঙ্ক তৈরি করতে স্বাধীনতা দিবসের দিন এই পোস্টার দিয়ে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’