রাস্তা তৈরি নিয়ে স্থানীয় সমস্যা। আর সেই সমস্যা মেটানোর জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছিল আদিবাসী সমাজের এক নেতাকে। সেখানে ডেকে নিয়ে এসে তাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকার ঘটনা। এরপরই মাঝি বাবা শিবারতি মুর্মু আত্মহত্যা করেছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এরপরই স্থানীয় আদিবাসীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা শনিবার থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান।
এমনকী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের দেশুরিয়া মোড় অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখায় তারা। তাদের এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল শোরগোল পড়ে। এমনকী তাঁরা মৃতদেহও নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অবরোধ করে রাখেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁদের গ্রামের মোড়লকে থানায় ডেকে হেনস্থা করেছিল। তার জেরেই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য় হয়েছেন। তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। দোষী পুলিশ কর্মীর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হন তাঁরা।
এদিকে গোটা ঘটনায় পুলিশের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কার্যত পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই পুলিশ লাইনে ওই পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটা কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন তাঁর মৃত্যু হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ তিনি হেনস্থা করেছিলেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মৃতের পরিবারকে সহায়তা করার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর অবরোধ ওঠে।