বরানগর খুনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আংশিক সাফল্য পেল পুলিশ। পাঁচজন আততায়ীর মধ্যে দুজন ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। বাকি তিনজনকেও ধরার চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই ধরা হয়েছে ওই দুজনকে। তবে বাকি তিনজনের এখনও নাগাল পায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের যোগ রয়েছে কি না তা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে জড়িতদের সঙ্গে মৃতের পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তাও জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
রহস্য এখনও যেখানে
বরানগরে দিনেদুপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন ও লুটের ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। তার মধ্যে অন্যতম, ওই দোকান ও দোকানের মালিক সম্বন্ধে এত তথ্য কীভাবে পেল দুষ্কৃতীরা। কখন কোন সময়ে দোকানে হামলা দিলে কার্যসিদ্ধি হবে, তা কীভাবে ছক কষল, কবে থেকে তাদের টার্গেটে ছিল ওই দোকান ইত্যাদি প্রশ্নও উঠছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, আর অন্য কোনও দোকান টার্গেটে ছিল বা আছে কি না সেটিও। সিসিটিভি সূত্রের খবর, প্রত্যেকের বয়স ১৭ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রায় ১৫ কেজি সোনা (যার বাজারমূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা) নিয়ে দোকান থেকে চম্পট দেয় ওই আততায়ীরা।
আরও পড়ুন - কারও সর্বনাশে কারও পৌষমাস! বিপর্যয়ের সুযোগে উত্তরবঙ্গে আকাশছোঁয়া গাড়িভাড়া
আরও পড়ুন - পুজোর অনুদান পেয়েও নেই মমতার ব্যানার, কড়া হুঁশিয়ারি, বিতর্কে TMC বিধায়ক
বিক্ষোভের মুখে সাংসদ সায়ন্তিকা
এলাকায় দিনেদুপুরে এত বড় খুন হলেও সেদিন তাঁকে দেখা যায়নি। ঘটনার দুদিন পরে এলাকায় আসেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভের মুখে পড়়তে হয়েছে তাঁকে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সায়ন্তিকা এই দিন জানিয়েছেন, ওই স্থানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য প্রশাসনের কাছে তিনি দরখাস্ত করবেন। বর্তমানে ওই অঞ্চলে আরও বেশ কিছু স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। এলাকায় কোথাও পুলিশ আউটপোস্ট করা যায় কি না, তা নিয়েও পুলিশের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিনেত্রী সাংসদ।