জেলার ব্যস্ততম যাতায়াতের ক্ষেত্র বারাসত উড়ালপুল। এই উড়ালপুলই এবার চার মাস বন্ধ থাকবে। তবে আংশিকভাবে। সুতরাং সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীদের নাকাল হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই চার মাস বন্ধের কারণ হল উড়ালপুলের সংস্কার। এই কাজের জন্যই বন্ধ থাকবে বারাসত উড়ালপুল। এই সংস্কারের কাজটি শুরু হবে ৬ ডিসেম্বর তারিখ থেকে। এই কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসন, পূর্ত দফতর এবং বারাসত পুরসভা যৌথভাবে বারাসত উড়ালপুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চার মাস সময় নেওয়া হলেও প্রত্যেক সপ্তাহে শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকবে বারাসত উড়ালপুল। বাকি দিনগুলিতে স্বাভাবিক থাকবে যান চলাচল। কিন্তু পণ্যবাহী ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এই বারাসত উড়ালপুল দিয়েই যাতায়াত করে পণ্যবাহী যানবাহন। এবার তা আর করতে পারবে না। এই বারাসত উড়ালপুল যশোর রোড ও ১২ নম্বর জাতীয় সড়ককে জুড়েছে। ফলে এটা জেলার ব্যস্ততম উড়ালপুল। শুধু তাই নয়, এই উড়ালপুল চাঁপাডালি মোড়ের সঙ্গে কলোনি মোড়ের যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তারপরই উড়ালপুলের সংস্কারের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ, প্রশাসনের কর্তা, বারাসত ও মধ্যমগ্রামের পুরসভার পুরপ্রধান, বাস, ট্রাক, অটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। তখনই সবার সামনে বিষয়টি আনা হয় এবং বারাসত উড়ালপুল সংস্কারের কাজে তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুড়িগঙ্গার উপর দীর্ঘ ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ নির্মাণ হতে চলেছে, জুড়তে চলেছে সাগরদ্বীপ
অসুবিধায় বেশি পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। যাঁরা এই উড়ালপুল ধরে যাতায়াত করেন। তার উপর পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করতে না পারলে সবজি–আনাজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে চাপ বাড়তে পারে। যেহেতু সময় লাগবে চার মাস তাই প্রভাব পড়বেও বেশি। এই বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বারাসত উড়ালপুল সংস্কার করার জন্য সপ্তাহে যে দু’দিন সেতু বন্ধ থাকবে সে দু’দিন টোটো, অটো, ছোট গাড়ি বারাসত পুরসভার সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। আর পণ্যবাহী এবং ভারী যানবাহনগুলির ক্ষেত্রে বিকল্প পথ ডাকবাংলো মোড় হয়ে ঘুরে পৌঁছবে চাঁপাডালি মোড়ে।’
আর উড়ালপুলের সংস্কারের কাজ একবার শেষ হয়ে গেলে সমস্ত ঝঞ্ঝাট মুক্ত যাতায়াত করতে পারবেন মানুষজন। সময়টা বেশি লাগলেও সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়বে সংস্কারের পর। এই চার মাস পুলিশকেও বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। যাতে যানজট না হয়। ট্রাফিক পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে। মানুষের কষ্ট লাঘব করতে বিকল্প পথের ক্ষেত্রে দেখে রাখবেন জেলা পুলিশ। এই বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘বারাসত উড়ালপুলের নীচে থাকা স্তম্ভগুলির সংস্কারের কাজ চলবে। আর তখন সেখানের সংলগ্ন দোকানগুলি সপ্তাহের ওই দুটো দিন বন্ধ থাকবে।’