বারাসত শহরের প্রাণকেন্দ্রে বড়মা মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি, সিসিটিভি ফুটেজে ফাঁস সব

পুলিশ এসে ওই ফেলে দেওয়া প্রণামী বাক্স উদ্ধার করেছে। বারাসত শহরে এখন মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। এবার সেখানে মন্দিরও রেহাই পেলে না। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। কারণ এই মন্দিরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই চুরির ঘটনায় হতবাক।

খোদ বারাসত শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বড় মা কালী মন্দির। আর সেই মন্দিরেই চুরির ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে এই চুরির ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে গেল। বহু মানুষ এখানে পুজো দেন মনষ্কামনা পূর্ণ করতে। আর আজ সেই মন্দিরেই ঘটে গেল সাংঘাতিক ঘটনা। মাঝরাতে ওখানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সব ফাঁস হয়ে গেল। এমন চর্চিত মন্দিরে যদি চুরির ঘটনা ঘটে তাহলে বাকি মন্দিরগুলির নিরাপত্তা কোথায়?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে আর ওই সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, একটি বারমুডা ও নীল জামা পরে, মাথায় টুপি দেওয়া এক মাঝবয়সী যুবক বড় মা কালী মন্দিরে এল। আর প্রণামী বাক্স নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে। সেটা হাতে না আসায় মন্দিরের রেলিংয়ের সঙ্গে বাঁধা থাকা প্রণামী বক্সের শিকল ভাঙল। তারপর সে চলে যায় পাশের গলিতে। তার কয়েক সেকেন্ড পর ফিরে এসে বুকে করে আগলে প্রণামি বাক্সটি নিয়ে চলে যায়। এই ফুটেজ দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কারণ এমন ঘটনা যদি ঘটেই থাকে তাহলে আরও বড় কিছু যে কোনওদিন ঘটতে পারে। তাই অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে আজ, শুক্রবার সাতসকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই তোলপাড় কাণ্ড ঘটে যায়। গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। মন্দিরের পুরোহিত বিদ্যাধর সৎপতি চুরির ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘‌প্রণামী বক্সে অনেক টাকা ছিল। সেসব তুলে নিয়ে পালিয়েছে এক দুষ্কৃতী। আর প্রনামী বাক্স ফেলে দেওয়া হয়েছিল পাশের একটি জঙ্গলে। পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।’‌ কিন্তু রাতের অন্ধকারে এমন একটি মন্দিরে চুরি হয়ে গেল কেউ টের পেল না?‌ রাতে কি পুলিশের টহল ছিল না?‌ এত নিশ্চিন্তে চুরি করল কেমন করে?‌ এইসব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।

এছাড়া পুলিশ এসে ওই ফেলে দেওয়া প্রণামী বাক্স উদ্ধার করেছে। বারাসত শহরে এখন মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। এবার সেখানে মন্দিরও রেহাই পেলে না। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে। কারণ এই মন্দিরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই চুরির ঘটনায় হতবাক। কোনও ভয় করল না দুষ্কৃতীর এই কাজ করতে!‌ এটা ভেবেই সকলে অবাক হচ্ছেন। কথিত আচে, এই বড় মায়ের মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। সেখানে এমন চুরির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।