বাচ্চার শ্বাসনালীতে পেনের ঢাকনা চলে গিয়েছিল। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। শ্বাস নিতে পারছিল না ওই নাবালক। পেনের ঢাকনা এমন জায়গায় আটকে গিয়েছিল যে ব্রঙ্কোস্কপি করেও কাজের কাজ কিছু হবে না। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচাতেই হবে। এদিকে ওপেন লাং সার্জারির অনেক ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া ওই ধরনের অপারেশনের ব্যবস্থা বর্ধমান মেডিক্যালে নেই। কিন্তু শিশুটিকে যদি অন্যত্র পাঠানো হয় তাহলে সময় অনেকটা পেরিয়ে যেতে পারে।এর জেরে বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারত। এরপরই বড় সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, আরামবাগের হাজিপুরের বাসিন্দা বাবুলাল হোসেন। বয়স মাত্র সাত বছর। তার গলাতেই আটকে গিয়েছিল পেনের ঢাকনা। তাকে প্রথমে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পেনের ঢাকনা বের করা যায়নি। এরপর তাকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যালে। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যালে আবার ওপেন লাং সার্জারির ব্যবস্থা নেই।
এদিকে বাচ্চাটি বাঁদিকের ব্রঙ্কাসে পেনের ঢাকনা আটকে গিয়েছিল। এরপরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। বাচ্চাটি ক্রমশ ফ্য়াকাসে হয়ে যাচ্ছিল। অক্সিজেন পাচ্ছিল না। কিন্তু ব্রঙ্কোস্কোপ করেও কাজের কাজ কিছু হবে না। এরপর চিকিৎসকরা নেজাল এন্ডোস্কোপি করেন। গলায় ফুটো করা হয়। শ্বাসনালীর পাশেই গলায় ফুটো করা হয়। এরপর সেখান দিয়ে পেনের ঢাকনা বের করা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এর আগে এই ধরনের অপারেশন আগে কোনও দিন হয়নি। তবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপারেশন করে সফল হয়েছেন চিকিৎসকরা। বড় সাফল্য। আপাতত সুস্থ রয়েছে বাবুলাল। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।