অবশেষে ধরা পড়ল স্বর্ণমুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারণাচক্রের ৩ সদস্য। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১ ব্যক্তিকে ২০০টি নকল স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগে সাগর মণ্ডল, খোকন সাহা ও শেখ মাহের নামে ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সাগর ও খোকনের বাড়ি আউশগ্রামের ভেদিয়ায়। আর বীরভূমের সাঁইথিয়ার ভ্রমরকোল গ্রামের বাসিন্দা মাহের। ধৃতরা ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রায় ২০০টি প্রাচীন সোনার মুদ্রা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পশ্চিম মেদনীপুরের দাসপুর এলাকার বাসিন্দা বিমল কুমার মালকে। বিমলবাবুর জানান, দিন কয়েক আগে রাজীব দাস বলে একজন তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। সে জানায়, তাঁর বাড়ির পাশে একটি পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে একটি কলসি উদ্ধার হয়েছে। তাতে অনেকগুলি সোনার মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিকে কম টাকায় বিক্রি করে দিতে চান তিনি। তারপরেই গত সপ্তাহে গুসকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে সেই মুদ্রা দেখানো হয়। সোনা কি না যাচাইয়ের জন্য মুদ্রা থেকে এক টুকরো কেটে দেওয়া হয়।
বিমলবাবুর অভিযোগ, পরীক্ষার জন্য দেওয়া মুদ্রার অংশটি সোনার হলেও পরে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে যে দু’শটা মুদ্রা দেওয়া হয় সেগুলি সোনার নয়। তা বুঝতে পরেই বিমলবাবু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের ভেদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, একটি নাম্বারবিহীন মোটরবাইক ও ৬টি মোবাইল ফোন। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান ধৃত তিনজনের মাথা শেখ মাহের।
বলে রাখি, গত কয়েক মাসে একই কায়দায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতারণা হয়েছে। রানাঘাটে এক তৃণমূল নেতার কাছ থেকে এভাবেই ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। প্রতারণার শিকার হন এক মহিলা জ্যোতিষিও। সেই সব প্রতারণায় এই দলই যুক্ত কি না তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।