বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে ট্রেন দিয়েছিল। সংকীর্ণ সিঁড়ি দিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার সময় যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তার জেরে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত রেলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে কুম্ভের পুণ্যার্থীদের ভিড়ে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে এত ভিড় সত্ত্বেও রেলের কেউ ছিলেন না। এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছিলেন, ‘(নয়াদিল্লি রেল) স্টেশনে আরপিএফের কোনও অফিসার বা কোনও পুলিশ অফিসার ছিলেন না। স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ছিল। ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আমার আত্মীয়দের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্লেনকেও হারিয়ে দেবে নয়া লোকাল ট্রেন! টেন্ডার ২৩৮টির, নন-এসি কোচেও অটোমেটিক ডোর
সেইসময় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, '১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে (সেখানে ট্রেন আসবে বলেছিল) লোকজন আসছিলেন। আবার ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘোষণা করা হয় যে ১৬ নম্বরে ট্রেন আসবে। তার ফলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এদিক থেকে লোক যাচ্ছিলেন। ওদিক থেকে লোক আসছিলেন। আর মাঝামাঝি দু'পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কা হয়ে যায়। তার ফলে লোকজন পড়ে যান। তাঁরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গিয়েছেন, কিচ্ছু জানি না।'
আরও পড়ুন: নজরে লাদাখ, চিন সীমান্তের কাছে রেললাইন পাতছে ভারত! ৩০,০০০ কোটি টাকার মেগা কাজ
প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে আসা ওই ব্যক্তি আরও বলেছিলেন, 'কয়েকজন তাঁদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এখন খালি দেখাচ্ছে স্টেশন। ঘটনার সময় প্রশাসনের কেউ ছিলেন না। এক ঘণ্টা পরে প্রশাসনের লোকজন এসে গিয়েছে। এখানে ঝাড়ু দিয়ে সাফাই করে দেওয়া হয়েছে।' সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘ওখানে নজরদারির জন্য কেউ ছিলেন না। ভিড় সামলানোর জন্য কেউ ছিলেন না।’
আরও পড়ুন: কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু ব্রিজ, কঠিন জায়গায় ৪৫ টানেল, এবার মিজোরামেও যাবে ট্রেন
পদপিষ্টের ঘটনায় বিহারের পাটনার এক বাসিন্দার মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল ভিড় ছিল। পায়ের তলায় চাপা পড়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যাঁরা প্রয়াগরাজে যাচ্ছিলেন না। বরং নয়াদিল্লি থেকে বিহারে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।