SUCI-র ডাকা বনধে তেমন প্রভাব পড়ল না রাজ্যে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হলেও কলকাতায় স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। অন্যান্য কর্মদিবসে যেমন গাড়ি চলাচল করে, রাস্তায় ভিড় থাকে, দোকানপত্র খোলে, সেই ছন্দ বজায় আছে শুক্রবারও। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে লোকাল ট্রেন, মেট্রো। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস আছে। তুলনামূলকভাবে কয়েকটি জেলায় বনধের অল্পবিস্তর প্রভাব পড়েছে। মূলত যে যে এলাকায় SUCI-র সংগঠনের কিছুটা জোর আছে, সেখানে রাস্তায় নেমেছেন কর্মী-সমর্থকরা। করেছেন মিছিল। কোচবিহার, বেলদার মতো জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন SUCI-র কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতার হাজরার যোগমায়া দেবী কলেজের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় SUCI-র ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (AIDSO)। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, আজ যোগমায়া দেবী কলেজে ক্লাস বন্ধ আছে। যে কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়াশোনা করতেন।
কোচবিহার ও বেলদায় উত্তেজনা
শুক্রবার সকালে বনধের সমর্থনে কোচবিহার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদায় রাস্তায় নামেন SUCI-র কর্মী-সমর্থকরা। দু'জায়গায় পুলিশ মিছিল আটকাতেই পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন SUCI-র কর্মী-সমর্থকরা। কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে পুলিশ।
অন্যান্য জেলায় বনধের প্রভাব
১) দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে বনধের সমর্থনে মিছিল করেন SUCI-র কর্মী-সমর্থকরা।
২) এখনও পর্যন্ত হাওড়ায় বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। স্কুল খুলেছে। অন্যান্য দিনের মতোই হাওড়া লাইনে চলছে লোকাল ট্রেন এবং দূরপাল্লার ট্রেন। হাওড়া স্টেশনের বাইরে রোজকার মতো ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে।
৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বাজার, কুলতলি এবং মথুরাপুরে মিছিল করেন SUCI-র কর্মী-সমর্থকরা।
৪) বনধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে দুর্গাপুরে। অন্যদিনের তুলনায় কম মানুষের দেখা মিলেছে সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে। আপাতত SUCI-র তরফে কোনও মিছিল না হলেও বনধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
৫) শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ে পিকেটিং করেছে SUCI।
৬) বাঁকুড়ায় মাচানতলায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে বনধের।
কলকাতায় বনধের কোনও প্রভাব নেই
১) সল্টলেক: কোনও প্রভাব পড়েনি বনধের। করুণাময়ী থেকে নির্দিষ্ট সময় বাস ছাড়বে। এক যাত্রী জানিয়েছেন, অটোও স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে। অটো করে এসেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
২) শ্যামবাজার, রুবির মোড়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় বনধের কিছু মালুম হচ্ছে না।
৩) তবে হাজরার যোগমায়া কলেজের প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন AIDSO-র কয়েকজন সদস্য। একজনের অভিযোগ, ‘এখানে (চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যা) অনেক রাঘব-বোয়াল যুক্ত আছেন। যে পদেই থাকুক, শাস্তি দিতে হবে।’