এবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল বারাকপুর কমিশনারেটের ২ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। তাদের দুজনকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুই পুলিশ কর্মী বারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত খড়দহ থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। যার মধ্যে একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং অন্যজন হলেন কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: ইরানে পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ
তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন একটি গাড়ির মালিক। তাদের অভিযোগ ছিল, সোদপুর বি টি রোডে নাকা চেকিংয়ের সময় এই দু'জন পুলিশকর্মী একটি দুধের গাড়ি আটকে ছিলেন। দুধের গাড়িতে কাগজপত্র ঠিক ছিল না। তা সত্ত্বেও টাকা নিয়ে সেই গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই দুই পুলিশকর্মী। দুজনের নাম সুজয় সরকার (সাব ইন্সপেক্টর) এবং তাপস দাস (কনস্টেবল)। ঘটনায় ওই গাড়ির মালিকই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে গিয়ে দু'জনের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে প্রাথমিকভাবে গাড়ির মালিকের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ তারপরেই। ওই দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনার অভিযোগ প্রথম নয়। প্রায়ই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এসপি পদ মর্যাদার আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে বারাকপুর থানায় দুর্নীতি দমন আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি বেআইনিভাবে আর্তিক লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।