ব্যারাকপুরে অবস্থিত পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে ভিন রাজ্যের পুলিশকর্মীরাও প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। এই কেন্দ্রকে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টারের মর্যাদা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিহার, ওড়িশা–সহ পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের পুলিশকর্মীরা এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। প্রশিক্ষণ পর্বের যাবতীয় খরচ এতদিন বহন করত কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাস দেশে থাবা বসানোর সময় থেকে (২০২০) কেন্দ্রের মোদী সরকার এই খাতে কোনও টাকা বরাদ্দ করছে না। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রশিক্ষণ।
ঠিক কী ঘটেছে ব্যারাকপুরে? এই প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যেতেই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নয়াদিল্লির কাছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা দরবার করেছেন। চিঠিও লিখেছেন। কিন্তু উত্তর মেলেনি। কবে টাকা আসবে? এই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া আর চালু থাকবে কি না? তা জানতে পারা যায়নি। সবটাই ধোঁয়াশায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর।
এখানে কী প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো? পুলিশ সূত্রে খবর, এখানে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। কীভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার ডিউটি করতে হবে, উত্তেজিত জনতাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, ফরেনসিক বিজ্ঞান, বিভিন্ন অপরাধের তদন্তের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এখানে। তবে মূলত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত পুলিশকর্মীদেরই এখানে পাঠানো হতো প্রশিক্ষণের জন্য। তদন্ত করতে গিয়ে কোথায় কোথায় বাধা আসছে এবং কোন কোন জায়গায় আরও বেশি অগ্রগতি দরকার তাও হাতেকলমে শেখানো হতো।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, এখানের বাজেটে কাটছাঁট শুরু করার সময় থেকেই প্রশিক্ষণ বন্ধ। এমনকী, বিদেশে গিয়ে পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুলিশের একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকার জন্য প্রস্তাব গিয়েছে নয়াদিল্লিতে। কিন্তু কোনও উচ্চবাচ্য করেনি কেন্দ্র। রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণের অনেক গভীরতা এবং গুরুত্ব আছে। সেখানে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।