ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে এবার এই খুনের ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ওড়িশার যগরসিংপুরের বাসিন্দা আসিফ খান ওরফে আশিস কুমার রায়কে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। পুলিশের বিশেষ টিম তল্লাশি চালিয়ে বিহারের পাটনা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। ট্রানজিট রিমান্ডে রবিবার টিটাগড়ে আনা হয়। এই খুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এই আসিফ খান আগেও বহু খুন করেছে। পাটনার আইএএস অফিসার টুকটুক ঘোষের বোন ইতিহাসের অধ্যাপিকা এবং এখানের শিক্ষা দফতরের বিশেষ সহায়িকা পাপিয়া ঘোষ ও তাঁর বৃদ্ধা পরিচারিকাকে খুন করেছিল আসিফ বলে অভিযোগ। ব্যারাকপুর খুনের ঘটনায় সে জড়িত বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছিল। তাই তাকে গ্রেফতার করে এখন গোটা ঘটনার তথ্য বের করতে চাইছে পুলিশ। এই ঘটনার পরিকল্পনা এবং আর কারা জড়িত তা জানতে চায় পুলিশ। পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল সফি খান এবং জামসেদ আনসারিকে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আসিফের মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে পুলিশ খুঁজতে শুরু করে। অবশেষে এল সাফল্য।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে অর্জুন সিং, সৌগত রায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন। সেখানে এবার বড় সাফল্য এসেছে। তাই রবিবার দিনই আসিফকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাকে শনাক্তকরণের জন্য আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আদালত তাতে সম্মতি দেয়। আজ, সোমবার ব্যারাকপুর সাব জেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া হবে। শনাক্তকরণের এই কাজে নিহত নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ–সহ দোকানের অন্য কর্মচারীদের ডাকা হয়েছে। শনাক্তকরণ শেষ হলেই আসিফকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের কাছে এই আসিফকে নিয়ে একটি গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে পাটনায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আর সেখান থেকেই আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। আর এই অপারেশন করার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছিল। এবার এই তদন্ত অনেকটা গতি পাবে বলে মনে করছে পুলিশ। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের একটি সোনার দোকানে ডাকাতরা লুটপাট করতে এলে বাধা দেওয়া হয়। তখন গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে। তারপর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবার মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হল।