বাড়িতে না জানিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস করছিলেন যুবক। ২ মাস পর উদ্ধার হল তাঁর দেহ। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের। নিহতের নাম নজরুল মণ্ডল। ঘটনায় প্রেমিকা রেজিনা সরদার ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার।
নিহত নজরুল ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নারায়ণগড়ের। নিহতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ২ মাস আগে সে জানায়, কেরলে কাজ পেয়েছে। এই বলে ব্যাগ - বাক্স গুছিয়ে সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। তার পর থেকে তার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না পরিবারের। মঙ্গলবার বারুইপুর হাসপাতালে পাওয়া যায় নজরুলের দেহ। এর পরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
জানা গিয়েছে, কেরলে যাওয়ার নাম করে প্রতিবেশী প্রেমিকা রেজিনা সরদারকে নিয়ে সুভাষগ্রামে বাড়িভাড়া নিয়ে সহবাস করছিলেন নজরুল। একই জায়গায় ভাড়া থাকতেন রেজিনার বোন ও তাঁর প্রেমিক। মঙ্গলবার তারাই বারুইপুর হাসপাতালে অসুস্থ নজরুলকে ফেলে পালায়। সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের।
পরিবারের দাবি, নজরুলের কাছে থাকা টাকা ভাঙিয়ে খাচ্ছিলেন বাকিরা। কিন্তু সেই টাকা শেষ হয়ে আসায় নজরুল সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে বিবাদের জেরে যুবককে বিষ পান করান অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার বারুইপুর থানা থেকে যোগাযোগ করা হয় ক্যানিং থানায়। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে। কেরলে থেকে ভালো রোজগার করে ফিরবে বলে আশায় ছিলেন নজরুলের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে ঘরে পৌঁছয় মৃত্যু সংবাদ। নিহতের পরিজনদের দাবি, রেজিনাই খুন করেছে নজরুলকে। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।