পাড়ার দাদা বলে পরিচিত। আগে বহুবার কথা হয়েছে। কিন্তু তার মনে যে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর লালসার অভিলিপ্সা সেটা বুঝতে পারেনি নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। একদিন নবম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ডাকে প্রতিবেশী ওই যুবক। তারপর নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে লাগাতার যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। ভয় দেখানো হয় কাউকে বললে সর্বনাশ করে দেওয়ার। এরপর সেই অত্যাচার বাড়তে থাকে। ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। আর মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়ে তা করা হয় বলে অভিযোগ।
এভাবেই দিনের পর দিন নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী ওই যুবকের বিরুদ্ধে ৷ বারুইপুর থানা এলাকায় এখন এটাই সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয়। তেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবকের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন বারুইপুরের মানুষজন। নবম শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এমনকী আজ ওই যুবককে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: আবার দুই বাংলার মিলনে বাধা পড়ল, বাংলাদেশের ট্রেন মেদিনীপুর আসছে না উরস উৎসবে
ওই ছাত্রীর পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় ওই যুবক। কিন্তু ছাত্রীটি রাজি না হওয়ায় তাকে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করা শুরু করেছিল অভিযুক্ত যুবক। তাতেও কাজ না হওয়ায় মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ভয়ে চিৎকার করতে পারেনি ওই ছাত্রী। কারণ যুবকের হাতে অ্যাসিড ছিল। সেটাকে সামনে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই কথা প্রকাশ্যে এলে তাকে ও তার বাবা–মাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত ৷ এই ভয় দেখিয়েই জোর করে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। সেটার আবার ভিডিয়ো করে রাখে ৷ ওই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়েও ধর্ষণ করে যুবক।
নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিচয় গোপন রাখতেই অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ। তবে তা অনেকেই জেনে ফেলেছেন। ওই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরালও করে দেয় প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক ৷ ওই ছবি এবং ভিডিয়ো চলে আসে নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যদের কাছেও। তাতেই তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সেও নির্যাতনের কথা কাঁদতে কাঁদতে বলে দেয়। তখন বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।