বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বারুইপুরে প্রাক্তন সেনাকর্মীর কাটা হাতের সন্ধানে শিয়ালের গর্তে ঢুকবে পুলিশ

বারুইপুরে প্রাক্তন সেনাকর্মীর কাটা হাতের সন্ধানে শিয়ালের গর্তে ঢুকবে পুলিশ

নিহত উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। ইনসাটে উজ্জ্বল চক্রবর্তী।

রবিবার সকালে জয়কে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রথমে বারুইপুর – মল্লিকপুর সড়কের পাশে একটি পুকুরে সে বাবাকে কাটার করাতটি ফেলেছে বলে জানায় জয়। সেই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি।

বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর কাটা হাতের এখনো খোঁজ পেল না পুলিশ। কাটা হাতের খোঁজ পেতে মদনমল্ল গ্রামের যে ঝোপে দেহাংশ ফেলা হয়েছিল সেখানে তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন পুলিশকর্মীরা। তাদের ধারণ, হাত টেনে গর্তে নিয়ে গিয়েছে শিয়াল।

গত ১৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন উজ্জ্বলবাবু। ১৭ নভেম্বর তাঁর কাটা ধড় ও মুন্ডু পাওয়া যায়। এর পর দায়ের হয় খুনের মামলা। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানায় উজ্জ্বলবাবুর খুনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় উজ্জ্বলবাবুকে খুন করে ৬ টুকরো করে ছেলে জয়। তাকে সেই কাজে সাহায্য করেন স্ত্রী শ্যামলীদেবী। শনিবার রাতেই জয়ের দেখানো জায়গায় উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর কাটা পা।

রবিবার সকালে জয়কে নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রথমে বারুইপুর – মল্লিকপুর সড়কের পাশে একটি পুকুরে সে বাবাকে কাটার করাতটি ফেলেছে বলে জানায় জয়। সেই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করাত পাওয়া যায়নি। এর পর তাকে নিয়ে একটি জঙ্গলের ধারে যান তদন্তকারীরা। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে উজ্জ্বলবাবুর কোমরের অংশ উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। ততক্ষণে দেহাংশ শিয়ালে খেতে শুরু করেছে। এর পর আসেপাশেই কাটা হাতের খোঁজ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। রবিবার দিনভর তল্লাশিতেও উজ্জ্বলবাবুর হাতের খোঁজ মেলেনি। তাতেই পুলিশকর্মীদের ধারণা, কাটা হাত টেনে গর্তে নিয়ে গিয়েছে শিয়াল।

তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় জয় জানিয়েছে, দিল্লি আফতাবের কীর্তি দেখেই বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। প্রাক্তন সেনাকর্মী উজ্জ্বলবাবু প্রায় সারা দিনই মত্ত অবস্থায় থাকতেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর অত্যাচারের শিকার জয় ও তাঁর মা। তাই বাবাকে সরিয়ে ফেলে শান্তিতে বাঁচতে চেয়েছিল তারা।

 

বন্ধ করুন