বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বারুইপুরে জোড়া খুনের ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তকে ধরতে পারল না পুলিশ, এলাকায় আতঙ্ক

বারুইপুরে জোড়া খুনের ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তকে ধরতে পারল না পুলিশ, এলাকায় আতঙ্ক

অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দেন অভিযুক্তরা। 

বুধবার সকালে বারুইপুর থানার পুলিশ সাজ্জাদের দেহ উদ্ধার করে। সরিফুদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তার আগে আবদুল হামিদের নাম বলে যান তিনি।

বারুইপুরের গৌড়দহ গ্রামে ভাইপোর হাতে কাকাসহ ২ জনের খুনের ঘটনায় এখনো মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারও থমথমে এলাকা। চলছে পুলিশি টহলদারি। ওদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্তের মা।

মঙ্গলবার গভীর রাতে গৌড়দা গ্রামে ভাইপো আবদুল হামিদের গুলিতে নিহত হন কাকা সাজ্জাদ মণ্ডল ও তাঁর বন্ধু সরিফুদ্দিন লস্কর। তার পর থেকে পলাতক আবদুল হামিদ। পুলিশের দাবি, মদের ঠেকে পাওনা গণ্ডা নিয়ে বচসার জেরে এই খুন। আবদুল হামিদ জানত যে কাকার কাছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা রয়েছে। সেই টাকা দাবি করে সে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে কাকাকে গুলি করে অভিযুক্ত। এর পর সেই টাকা নিয়ে পালাতে শুরু করে তার বন্ধ সরিফুদ্দিন। তখন তাকেও গুলি করে সে। এর পর টাকা নিয়ে এলাকা ছাড়ে।

বুধবার সকালে বারুইপুর থানার পুলিশ সাজ্জাদের দেহ উদ্ধার করে। সরিফুদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তার আগে আবদুল হামিদের নাম বলে যান তিনি। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও গৌড়দায় আতঙ্ক কাটেনি। নিহতের পরিজনদের দাবি, অভিযুক্ত আবদুল হামিদ একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের মা দাবি করছেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পরে দেখে নেব।

উত্তেজনা প্রশমণে বৃহস্পতিবারও এলাকায় টহল দেয় পুলিশবাহিনী। অভিযুক্ত আবদুল হামিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে বারুইপুর থানা সূত্রে খবর।

 

বন্ধ করুন