বারুইপুরে বাড়ির কাছেই জঙ্গলে উদ্ধার হল প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর কোমরের অংশ। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলীদেবী ও ছেলে জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে জয়কে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বারুইপুর থানার আইসি। জয়ের দেখানো জায়গায় তল্লাশি করেই উদ্ধার হয় দেহাংশ। তবে উজ্জ্বলবাবুর ২টি হাতের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুরের মাধবমল্ল গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ ও ধড়ের একাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে বেপাত্তা ছিলেন উজ্জ্বলবাবু। পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় নেশা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তদন্তে নেমে উজ্জ্বলবাবুর ছেলে ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানায় স্ত্রী ও ছেলের হাতেই খুন হয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। এর পর রাতেই জয়ের দেখানো জায়গায় উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর ২টি পা।
রবিবার সকালে জয়কে নিয়ে ফের মাধবমল্ল গ্রামে যায় পুলিশ। এর পর বাড়ি থেকে কয়েক শ’ মিটার দূরে পৃতৃহন্তা পুত্রের দেখানো যায়গায় তল্লাশি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর কোমরের অংশ। তবে উজ্জ্বলবাবুর হাতদুটির খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিন পুলিশকর্মীরা জয়কে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ভিড় জমান স্থানীয়রা। পরিচিত যুবক বাবাকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটেছে একথা তখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকে। ঘটনাস্থলে এখনো হাতের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।