বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাবাকে টুকরো টুকরো করে সারা রাত ধরে দেহাংশ ফেলেছিল জয়

বাবাকে টুকরো টুকরো করে সারা রাত ধরে দেহাংশ ফেলেছিল জয়

উজ্জ্বলবাবুর খুনের রহস্যভেদের পর সাংবাদিক বৈঠক করছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি।

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় ছেলের। এর জেরে জয়কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন উজ্জ্বলবাবু। পালটা আক্রমণ করে জয়। ছেলের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তিনি।

পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী। শনিবার খুনের অভিযোগে উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলীদেবী ও ছেলে জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কী ভাবে মা ও ছেলে মিলে খুন করলেন প্রৌঢ়কে। ধৃতদের বয়ানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় ছেলের। এর জেরে জয়কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন উজ্জ্বলবাবু। পালটা আক্রমণ করে জয়। ছেলের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। এর পর উজ্জ্বলবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। গোটা ঘটনাক্রম চলাকালীন বাড়ির টিভির আওয়াজ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্যামলীদেবী। রাত ৯টা নাগাদ উজ্জ্বলবাবুকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

ঘটনার অভিঘাত কাটার পর কী করে খুনের দায় থেকে বাঁচা যায় তার পরিকল্পনা করতে থাকেন মা ও ছেলে। এরই মধ্যে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। রক্তের ছাপ যাতে না পড়ে সেজন্য রাত ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যান শৌচাগারে। সেখানে বৈদ্যুতিক কাটার দিয়ে দেহ ৬ টুকরো করেন তাঁরা। গভীর রাতে প্লাক্টিকে ভরে একে একে দেহাংশগুলি ফেলেন আসেপাশের পুকুর ও জঙ্গলে। রাত ১২টা নাগাদ সাইকেলে করে মুন্ডু ও ধড়ের অংশ নিয়ে বেরোন জয় ও শ্যামলীদেবী। বাড়ি থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে একটি জলাশয়ে সেটিকে ফেলেন তাঁরা।

এর পর ওই রাতে আর ৩ বার দেহাংশ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় জয়। কোমর, ২টি হাত ও ২টি পা ফেলে বাড়ির কাছেই জঙ্গলে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয় ভোর ৪টেয়। এর পর শৌচাগার ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে যাবতীয় রক্তের দাগ মুছে ফেলেন শ্যামলীদেবী। সকাল হতেই মা ও ছেলে পৌঁছে যান বারুইপুর থানায়। সেখানে উজ্জ্বলবাবুর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।

 

বন্ধ করুন