এবার ছিনতাইকারী দম্পতিকে গ্রেফতার করল বারুইপুর থানার পুলিশ। সম্পর্কে তারা স্বামী–স্ত্রী। দু’জনেরই বয়স যথাক্রমে ২৬ এবং ২৪। এই যুবক দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। আর যুবতীটির বিদ্যে আরও কম। তবে দু’জনেই মোবাইল সফটওয়ার ঘেঁটে চৌখস হয়ে উঠেছে। এটার সঙ্গে ছিনতাই করতেও তারা বেশ তুখোড়। দু’জনে মিলে কয়েক–শো মোবাইল ছিনতাই করে পুলিশের কপালে ঘাম ফেলে দিয়েছে। কারণ এই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে অনেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবার বাস্তবের এই বান্টি–বাবলিকে যখন গ্রেফতার করল বারুইপুর থানার পুলিশ তখনও তাদের পকেটে ১৪টি চোরাই মোবাইল। এই ঘটনায় পুলিশ অফিসাররা চমকে উঠেছেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীটির নাম সাহেবা খাতুন। আর যুবক মহম্মদ আকাশ। এদের বাড়ি মল্লিকপুরে। এদের আরও একটি সঙ্গী ধরা পড়েছে। তার নাম সুপ্রতিম দাস। সে কলকাতার বাসিন্দা। সম্প্রতি সুপ্রতিম বান্টি–বাবলির গ্যাংয়ে যোগ দিয়েছে। বারুইপুরের কাটাখাল বাইপাস এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল তিনজন। পুলিশ এই খবর গোপন সূত্রে পায়। তারপর পরিকল্পনা করে তাদের ধরে ফেলে। একটি মোটরবাইকে করে তিনজন ছিনতাই করতে বেরিয়েছিল। ১৪টি মোবাইলের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ এবং ট্যাবও উদ্ধার হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সাহেবা আর আকাশ দেড় বছর আগে বিয়ে করেছে। আগে তারা দু’জনে আলাদা গ্যাংয়ে ছিল। সেখান থেকেই দু’জনের পরিচয়। একই পথের পথিক হওয়ায় দু’জনে বিয়ে করে ফেলে। তারপর থেকে একসঙ্গেই অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মোবাইল চুরি থেকে শুরু করে হেরোইন পাচার করে। চোরাই মাল সরবরাহের কাজও করে। এদের পরিচয় ‘ডাব্বা’ নামে।
কেমন করে তারা ছিনতাই করত? জানা গিয়েছে, এদের ছিনতাই ছিল একেবারে কমপ্লিট প্যাকেজ। কারণ এই বান্টি–বাবলির ছিনতাইয়ের ধরন বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। রাস্তায় কাউকে দামি মোবাইলে কথা বলতে দেখলে হেলমেটে মুখ ঢেকে পিছু নিত। তারপর নিমেষে ছিনতাই করে মোটরবাইকে বসে চম্পট। এখন এরা জেলে আছে। তবে বারুইপুরের বান্টি–বাবলি ধরা পড়ার পর যুবতীটি পুলিশকে বলেছে, ‘সবাই কাজ করে। আমরাও করি। এটা আমার কাজ।’ যুবকটি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘ছবি তুলবেন না। এক মিনিটে আপনার মোবাইল বরবাদ করে ছেড়ে দেব।’