ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। আর রোজই কেউ না কেউ ধরা পড়ছে। বাংলাদেশে অশান্তি জারি থাকায় জীবন–জীবিকা এখন শিকেয় উঠেছে। তাই অনেকেই কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধ পথে এপারে চলে আসছে। তারপর গা–ঢাকা দিয়ে থাকছে বলে অভিযোগ। পদ্মাপার থেকে এপারে নাগরিক থেকে শুরু করে জঙ্গিরাও ধরা পড়েছে। এবার বসিরহাটে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে পা রাখতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় এক অনুপ্রবেশকারী। সে অবৈধ পথেই বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে এপারে এসে বহুদিন গা–ঢাকা দিয়ে থাকছিল বলে অভিযোগ। ছদ্মবেশে এখানে কাজও করছিল। কিন্তু বাকি পরিবার এখনও বাংলাদেশেই রয়েছে। তাই সেখানে ছুটি নিয়ে যাচ্ছিল ওই বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু তাকে আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সুতরাং এপার–ওপার আর করা গেল না। বিএসএফ আটক করার পরে ওই বাংলাদেশের নাগরিককে তুলে দেওয়া হয় রাজ্য পুলিশের হাতে। তাঁকে গ্রেফতার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। আর বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠায়। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তী সরকারের আমলে হিংসা এবং অশান্তি ওপার বাংলায় লেগে রয়েছে। তা থামছেই না। তাতেই সমস্যা বাড়ছে এপারে।
আরও পড়ুন: সিপিএম কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, বিরোধী শূন্য উত্তর দমদম পুরসভা
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ভারতকে নানা গরমাগরম কথা শোনানো হয়েছে ওপার বাংলা থেকে। কলকাতা দখল থেকে শুরু করে দেখে নেওয়ার হুমকি ওপার থেকে এসেছে। এই আবহে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে ক্রমশ। এই আবহে অনুপ্রবেশ খুব সমস্যা তৈরি করেছে। সম্প্রতি এপার বাংলার মৎস্যজীবীদের আটকে রেখে মারধর করে পরে ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ওপার বাংলার মৎস্যজীবীরা এখানে ধরা পড়ার পর চিকিৎসা করিয়ে ওপারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই অনুপ্রবেশকারীকে সীমান্ত পার করার আগেই দেখে ফেলে ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের তারালি বিওপির বিএসএফ জওয়ানরা।
তখন তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সেই সময়ই উঠে আসে, সীমান্ত পেরনোর কোনও বৈধ কাগজপত্র তার কাছে নেই। অবৈধ পথে সে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। ছদ্মবেশে এখানে কাজ করছিল। আবার অবৈধ পথেই বাংলাদেশে ফিরছিল। তার আসল পরিচয় মহম্মদ সর্দার। আর বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। তারপর রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাংলাদেশের নাগরিক অনেকদিন আগেই ভারতে প্রবেশ করেছিল। বাংলা হয়ে সে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিল। আবার বাংলাদেশে ফেরার সময় বিএসএফ ধরে ফেলে। সে মহারাষ্ট্রে কী কাজ করত এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কেমন করে এখানে ছিল সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।