সোমবার তৃণমূলে যোগদান করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের এই পদক্ষেপে রাজ্যে একমাত্র বিধায়ক হারিয়েছে বাম কংগ্রেস জোট। কিন্তু দল বদলের পিছনে কোনও প্রাপ্তিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সত্যি হল সেই ভবিষ্যদ্বাণী। পুলিশি নিরাপত্তা পেলেন বাইরন বিশ্বাস।
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই বাইরনের পুলিশি নিরাপত্তার তোড়জোড় শুরু হয়। ফোনে রাজ্যের এক পুলিশকর্তার সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। ফোনে বাইরেন জানান, মুর্শিদাবাদে ফিরলে তাঁর ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা হতে পারে। সেজন্য পুলিশি নিরাপত্তা প্রয়োজন।
সেই মতো মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে বাইরেনের বাড়িতে ও বিধায়কের জন্য এলাহি নিরাপত্তার আয়োজন করেছে পুলিশ। বাইরেনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ জন কন্সটেবল, এক জন উপ পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপ পরিদর্শক। বাইরেনের বাড়ির নিরাপত্তায় মোতায়েন হয়েছে ৮ জন সশস্ত্র কন্সটেবল, ২ জন সহকারী উপ পরিদর্শক।
গত ২ মার্চ বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্র করে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন বাইরেন বিশ্বাস। প্রায় ২০০০০ ভোটে হারান তৃণমূল প্রার্থীকে। তার ৩ মাসের মধ্যে ‘জনগণের কাজ করতে’ তৃণমূলে যোগদান করলেন তিনি।