মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন মা, গলার নলি কাটল প্রেমিক, নিজেও রক্তাক্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, অনেকক্ষণ ধরেই তনুশ্রীকে অনুসরণ করছিলেন নবকুমার। এরপর রাত ৯টা নাগাদ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। তবে কাছেই পুলিশ ছিল। দ্রুত এব্যাপারে তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনার আকষ্মিকতায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জখম মহিলার মেয়ের দাবি, মাকে ওই লোকটা ছুরি চালিয়ে দিল। গলা, বুক, আঙুল সব কেটে গিয়েছে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা

ভয়াবহ ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক মহিলার গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ মহিলার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

স্থানীয় সূত্রে খবর, অষ্টমীর সন্ধ্যাতেই এই ঘটনাটি হয়েছে। মেয়ের সামনেই এই ভয়াবহ ঘটনা। ওই মহিলা অষ্টমীর সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ঠাকুর দেখে বেরিয়ে তাঁরা একটু ফাঁকা জায়গায় জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। সেদিকটা ভিড়টা তুলনায় কিছুটা কম। আচমকা কেউ যেন পেছন থেকে গলাটা ধরে। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। আহত মহিলার নাম তনুশ্রী হালদার। তাঁর বাড়ি কাকদ্বীপে। অন্য়দিকে ৫০ বছর বয়সী ওই অভিযুক্তের নাম নবকুমার মণ্ডল। তিনি রায়দিঘির নারায়ণতলার বাসিন্দা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করার সময় গাড়ি চালক নবকুমারের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তনুশ্রীর। পরে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিছুদিন নবকুমারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পরে ফের স্বামী, সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। এদিকে তনুশ্রীকে নিজের কাছে ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নবকুমার। আর তার পরিণতিতেই এই ভয়াবহ কাণ্ড।

তবে লোকজন তাকে তাড়া করলে তিনি নিজেও গলার নলি কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দুজনকেই উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবারা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অনেকক্ষণ ধরেই তনুশ্রীকে অনুসরণ করছিলেন নবকুমার। এরপর রাত ৯টা নাগাদ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। তবে কাছেই পুলিশ ছিল। দ্রুত এব্যাপারে তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনার আকষ্মিকতায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জখম মহিলার মেয়ের দাবি, মাকে ওই লোকটা ছুরি চালিয়ে দিল। গলা, বুক, আঙুল সব কেটে গিয়েছে।