প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে হাসপাতালের বাতি নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোয় ঝাড়গ্রাম জেলার প্রত্যন্ত বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপালের এক চিকিৎসককে শো-কজ নোটিশ ধরাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কার নির্দেশে তিনি ওই কাজ করেছেন তা তীর্থপ্রসাদ চক্রবর্তী নামে ওই চিকিৎসককে জানাতে বলেছেন ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীর ঐক্য তুলে ধরতে হাসপাতালের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালেন তীর্থপ্রসাদবাবু। সেই ছবি তুলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করেন তিনি। এর পরই স্বাস্থ্য দফতরের কোপে পড়েছেন তিনি। তাঁকে শো-কজের চিঠি ধরিয়ে ১১ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর ওই কাজের ফলে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারত। সঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কার নির্দেশে তিনি ওই কাজ করেছেন? মোমবাতি বা প্রদীপ কিনতে তাঁকে কে পয়সা দিয়েছে? কে তাঁকে ওই জিনিসগুলি কিনে এনে দিয়েছে? কে তাঁকে হাসপাতালে ছবি ও ভিডিয়ো তোলার অনুমতি দিয়েছে? তিনি কেন সেই ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন? রাজ্য সরকারের তরফে কি তিনি এবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা পেয়েছেন?
প্রশ্ন হল, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশের কোনও নাগরিক যদি মোমবাতি জ্বালান তাহলে কি তাতে বাধা দিতে পারে রাজ্য প্রশাসন? হাসপাতালের আলো নেভানোর জন্য যদিও রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে, কিন্তু প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানোয় স্বাস্থ্য দফতরের এত জ্বলছে কেন?