বিজেপি কোনওদিন সরকারিভাবে গোর্খাল্যান্ড শব্দ উচ্চারণ করেনি। মুখ্য়মন্ত্রী জিটিএ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ড শব্দটিকে সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন ও মান্যতা দিয়েছেন। জলপাইগুড়িতে বসে একথা দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে সুকান্তর এই বক্তব্যকে ঘিরে পাহাড়ে বিজেপির অন্দরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়কের দাবি, এই বিবৃতিতে আমাদের যেটা ভাবতে বাধ্য করছে যে বিজেপি কোনওদিন প্রো গোর্খাল্যান্ড পার্টি ছিল না। আগেও ছিল না। এখনও নয়। বৃহস্পতিবার এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন।
এদিকে একটু পেছনে দিকে তাকালেই দেখা যায় গত ২০১৯ সালে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন পূরণের জিগির তুলেই নির্বাচনী বৈতরণী পেরনোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। এবার সেই দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তাকেও চিঠি দিয়েছেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক। তিনি লিখেছেন, হাজার হাজার সমর্থক এই বক্তব্যে হতাশ। গোর্খা হিসাবে আমিও এটা মানতে পারছি না। তবে গোর্খাল্যান্ড বলতে বিধায়ক কী বোঝাতে চাইছেন সেটা অবশ্য তিনি খোলসা করেননি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বিজেপি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথা বার বারই বলে এসেছে। এর সঙ্গেই পাহাড়বাসীর মন জয়ে মাঝেমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব তুলেছেন গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্নের কথা। তবে সমতলে এসে অবশ্য় বক্তব্য বদলে ফেলতেন একাধিক নেতা। এদিকে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথা উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রীও।
তবে এনিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিজেপির দাবি খুব পরিষ্কার। আমরা গোর্খাদের স্বার্থে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাইছি। আমার মনে হয় বিধায়ককে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি একথা বলেছিলাম।