বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > 'BJP ৭৭ আসনে জিতেছে, রাজীব ৫০,০০০ ভোটে হেরেছেন', আক্রমণ সুকান্তের

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরায় দলবদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপি। রবিবার রাজীবকে নিশানা করে কটাক্ষের সুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, 'তাঁর বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে মনে হয় না। এই রাজ্যে তো বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। আর উনি ৫০ হাজার ভোটে হেরেছেন (পুরো ৫০,০০০ ভোটে হারেননি রাজীব। ৪২,২৬০ ভোটে হেরেছিলেন)।'

‌এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ‘‌বিজেপিতে যাঁরা যোগদান করেন, বিজেপি তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই নীতি অনুসরণ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান দিয়েছিলাম। সেই সম্মান তিনি রাখতে পারেননি অথবা যোগ্য হন না। উনি কোন রাজনৈতিক দল করবেন, সেটা একান্তই ওঁর নিজস্ব বিষয়।’‌

কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বিজেপি রাখেনি। তৃণমূলে ফেরার কারণ হিসেবে সভামঞ্চ থেকে জানিয়েছেন রাজীব। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‌প্রথম কথা ভোট হয়েছে এক বছরও হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কবে থেকে শিল্প শিল্প করে আসছেন। কিন্ত রাজ্যে কোনও শিল্প আসেনি। ৬২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলেছিলেন। যার মধ্যে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে, যাতে মাত্র ৬০০ মানুষের কাজ হবে। শিল্প আনার দায়িত্ব তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমরা এখানে সরকারেও নেই। শিল্পপতিরা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আসতে না চান, তার দায় কী নরেন্দ্র মোদীর?‌ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলে মাছ ঢাকে না। কোন উদ্দেশ্যে উনি জোড়াফুলে ফিরেছেন, সেটা বললে ভালো হয়। রাজীব স্তন্যদুগ্ধ পান করা শিশু তো নন!’‌ 

এদিন ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। ত্রিপুরা যাক। লড়াই করুক। দেখা যাক কতগুলি আসনে ত্রিপুরায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।’‌


বন্ধ করুন