শুরুটাই একেবারে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ি। দাবি করলেন, রাজ্যের যে উন্নয়ন হচ্ছে না, তা বোঝার জন্য কোনও পরিসংখ্যানের প্রয়োজন নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে পাড়ি, পড়ুয়াদের অন্য রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া, চিকিৎসার জন্য ভেলোর বা অন্যত্র যাওয়ার প্রবণতা থেকেই সেই রূঢ় বাস্তবটা সামনে চলে আসছে।
বুধবার তৃতীয় দফায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মোট বরাদ্দের ৫৮ শতাংশের বেশি সামাজিক প্রকল্পের খাতে খরচের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তথা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানান, নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়ানোর জন্য সরকার যে টাকা দিচ্ছে, তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পুরো বিষয়টিতে ভারসাম্যের প্রয়োজন আছে। রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঙ্গে সমান্তরালভাবে সামাজিক প্রকল্প চালু রাখতে হবে। তবে রাজ্যের উন্নয়নের চাকা ছুটবে।
এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির নাম পালটে নিজেদের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে মমতা সরকার। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেছেন। যে কটাক্ষের পরতে পরতে শ্লেষ মেশানো ছিল। বিজেপি বিধায়ক কটাক্ষ করেন, একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। তাতে ‘শ্রী’ এবং ‘ধারা’ যোগ করা হয়েছে। এতগুলি প্রকল্প চালানো যায় কীভাবে? কী ‘অমানবিক পরিশ্রম’ করছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে যে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির সুবিধা কারা পাচ্ছেন, সেজন্য রাজ্যের কত খরচ হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি রাজ্য সরকার। সেজন্য অডিটের দাবি জানান তিনি।