প্রথমে ঠিক হয়েছিল হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বালি পুরসভার এলাকা। কিন্তু মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বালি পুরসভা আলাদাই থাকবে। ফলে শতাব্দীপ্রাচীন বালি পুরসভায় আলাদাভাবেই ভোট হবে। যে দাবিতে দিনকয়েক আগেই আন্দোলনে নেমেছিল বামেরা।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসীন হওয়ার পর হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে বালি পুরসভাকে সংযুক্তিকরণ করা হয়েছিল। এই সংযুক্তিকরণের ফলে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড ১৬টি ওয়ার্ডে নেমে আসে। এই সংযুক্তিকরণের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রশাসনিক কাজের জন্য বালি পুরভবনে আলাদা করে একটি দফতর তৈরি করা হলেও ঠিকমতো কাজ হত না। বালির লোকেদের ট্রেড লাইসেন্স থেকে জমি, বাড়ির মিউটেশন করাতে হাওড়াতেই ছুটতে হত। এই সমস্যা সমাধান করতে চলতি মাসের শুরুতে বালিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি পুরসভা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতেই রাজ্য সরকার পুনরায় বালি পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমে ভোট হতে চলেছে। তবে সেই ভোটে বালি পুর এলাকায় ভোট হবে না। হাওড়ার যে ৫০টি ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানেই ভোট গ্রহণ হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৮৮৩ সালে প্রথম বালি পুরসভা তৈরি হয়। ১৯৬২ সালে একে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা উঠলেও বাস্তবে তা হয়নি। শেষপর্যন্ত ২০১৫ সালে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর বালির রাস্তাঘাট ও পানীয় জল সংক্রান্ত নাগরিক পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়। তবে বালির বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলেও বালিতে কোনও বোরো অফিস ছিল না। এরফলে ছোটখাটো সমস্যা সমাধানে বালির বাসিন্দাদের হাওড়াতেই ছুটতে হত।