বাংলায় ধর্ষণ ও অপরহণের পরিসংখ্যান নিয়ে টুইটার যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং রাজ্য সরকার। ধনখড়ের পরিসংখ্যানকে কার্যত ভুয়ো হিসেবে দাবি করল স্বরাষ্ট্র দফতর। পালটা ধনখড় আবার হুঁশিয়ারি দিলেন, রাজ্য ‘ভুল’ সংশোধন না করলে ‘ফল' ভুগতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি টুইটবার্তায় ধনখড় বলেন, ‘সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের অগস্টে ধর্ষণ - ২২৩ এবং অপহরণ - ৬৩৯। যা রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত করছে - যা উদ্বেগের কারণ। অন্যত্র আগুনের শিখার কাছে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় যে আগুন জ্বলছে, সেটা নেভানো এবং আইন-শৃঙ্খলা ঠিক করার সময় (এসে গিয়েছে)।’|
সেই টুইটের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করেন ধনখড়। সঙ্গে জেলাভিত্তিকে একটি পরিসংখ্যানের তালিকার ছবি প্রকাশ করেন। তাতে অবশ্য কলকাতার পরিসংখ্যান ছিল না। একইসঙ্গে কোন সরকারি পরিসংখ্যানের তুলে ধরেছেন, সে বিষযে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি ধনখড়। বরং ঘুরিয়ে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যাওয়া, মুখ্যমন্ত্রী মিছিল নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি।
তা নিয়ে মমতার দফতর থেকে পালটা জবাব আসে। এমনিতে হামেশাই মমতাকে ট্যাগ করে টুইট করেন ধনখড়। তবে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ধনখড়ের পরিসংখ্যানকে ঘুরিয়ে ভুয়ো বলা হয়। একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘রাজভবনের তরফে ধর্ষণ এবং অপহরণের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তা কোনও সরকারি রিপোর্ট, পরিসংখ্যান বা তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়। অভিযোগ ভিত্তিহীন, অমূলক, খাঁটি তথ্য এবং পরিসংখ্যানের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান।’
স্বরাষ্ট্র দফতরের সেই টুইটের মিনিটের ১৫-এর মধ্যেই পালটা হুঁশিয়ারি দেন ধনখড়। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত ভুল উপস্থাপনায় হতবাক। ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহার এবং সংশোধন করা আবশ্যিক। প্রতিটি ডিভিশন থেকে আমার কাছে পাঠানো সত্যিকারের রিপোর্ট থেকে ২০২০ সালের অগস্টে ২২৩ টি ধর্ষণ এবং ৬৩৯ টি অপরহণের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। খুঁটিনাটি পরীক্ষার পর যাবতীয় পরিসংখ্যান (দেওয়া হয়েছে)।’
এখানেই থামেনি রাজ্য সরকারের তুলোধনা। আরও দুটি টুইট করে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেন ধনখড়। 'ফল' ভুগতে হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ধনখড় বলেন, 'একটি সাংবিধানিক কার্যালয়কে নীচু দেখাতে চূড়ান্ত ভুল বিবৃতি দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, তাঁরা ফল না ভুগে থাকতে পারবেন না।'