হালিশহরে রাজনৈতিক হিংসায় নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। যা নিয়ে বাজার–গরম করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এবার মতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী'কে দমকল দফতরে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। তাতেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বুধবার নিহত সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী নবনীতার সঙ্গে দেখা করে সেই ঘোষণা করেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
জানা গিয়েছে, এই পরিবারে একমাত্র আয় করতেন সৈকত ভাওয়াল। কিছুদিন আগেই হালিশহরে বিজেপির ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে নিহত হন বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। বিজেপি আঙুল তোলে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পাশে এসে দাঁড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সৈকতের বাড়িতে যান নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সৈকতের স্ত্রী নবনীতা ভাওয়ালকে রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা জানান। বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘নবনীতার পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দমকলে একটি ক্লার্ক পোস্টে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
যদিও এই বিষয়টা নিয়েও রাজনীতি করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘পার্থ ভৌমিক নাটকবাজ! রাজ্যে লাখ লাখ বেকার রয়েছেন। চাকরির জন্য অনশন করছেন। সেখানে কেবল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ আর নিহত সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী নবনীতা রাজ্য সরকারের চাকরি গ্রহণ করলেও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মানতে নারাজ। সৈকত ভাওয়ালের মা বলেন, ‘যারা আমাদের ছেলেকে খুন করল, তাদের চাকরি আমাদের দরকার নেই।’