জোড়া সমস্যার মোকাবিলার করতে নয়া বছর থেকেই ই-রেশন কার্ড চালু করতে পারে রাজ্য সরকার। যা কার্যত ই-আধার কার্ডের মতো হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে ই-রেশন কার্ড চালু হলেও ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশন মিলবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, নয়া বছরের জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু লকডাউনের সময় ডাকের মাধ্যমে ডিজিটাল রেশন কার্ড পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়েছিল রাজ্য। আনলক পর্বে ডাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলেও বিধানসভা ভোটের আগে কোনও অস্বস্তিতে পড়তে চাইছে না তৃণমূল সরকার। সেজন্য এবার ই-রেশন কার্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
খাদ্য আধিকারিকদের উল্লেখ করে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডাক সমস্যার কারণে রাজ্যের অনেক মানুষের কাছে এখনও রেশন কার্ড পৌঁছায়নি। কিন্তু রাজ্যের সব মানুষের কাছেই ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকার কথা। তাই ডাকের উপর ভরসা না করে এবার থেকে ই-রেশন কার্ড চালু করা হচ্ছে। তার ফলে উপভোক্তারা খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। মোবাইল নম্বর দিলেই অনলাইনে সেই ই-রেশন কার্ড মিলবে। তবে সেই ফোন নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত থাকতে হবে। সেই কার্ড দেখালেই রেশন মিলবে বলে জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, খাদ্য আধিকারিকদের মতে, উপভোক্তার পরিবর্তে অন্য কারও হাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড আছে কিনা, তাও যাচাই করে দেখা যাবে। একইসঙ্গে ই-রেশন কার্ড নকল করা যাবে না বলে খাদ্য আধিকারিকদের। কিন্তু কেন? খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কার্ডে কিউ-আর কোড থাকবে। যুক্ত থাকবে আধার নম্বর। একইসঙ্গে ই-রেশন কার্ডকে রাজ্য সরকার নথি হিসেবে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেবে বলে ওই প্রতিবেদন জানানো হয়েছে।