পুজোর কেনাকাটা করতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি চুলোয় গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের ট্র্যাক রাখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে ও প্রতিরোধ করা যায়।
জানা গিয়েছে, করোনা রোগীদের পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে এই ট্র্যাক করা হচ্ছে। এই রিপোর্টে ‘সিটি’ ভ্যালু বলে একটি বিষয় থাকে। এই সিটি ভ্যালু থেকে বোঝা যায় কাদের থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার সূত্রে খবর, করোনা রোগীদের সিটি ভ্যালু নিয়ে শ্রেণি বিভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই জিজ্ঞাসাবাদের পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, কম সিটি ভ্যালু রোগীদের ট্র্যাক করতে। কারণ এই কম সিটি ভ্যালুর রোগীদের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। এই সিটি ভ্যালু পুরো নাম হল—সাইকেল থ্রেসহোল্ড ভ্যালু।
এই ট্র্যাকের পাশাপাশি রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে লিফলেট ছাপিয়ে করোনা সচেতনার জন্য নির্দেশিকা আশা–কর্মীদের দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ৬টি জেলাকে বিশেষভাবে করোনা সুরক্ষা নেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে—জঙ্গলমহল–সহ পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান রয়েছে।
লোধা আর সবর আদিবাসীরা এখানে অপুষ্টিতে ভোগে। তাঁরা যদি কোনও কারণে সংক্রমিত হন তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। তাই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের পুষ্টির বিষয়ে খেয়াল রাখতে। ঝাড়খণ্ড–ওড়িশা সীমান্তের দিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে।