করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপে। গত কয়েকদিনে বহুগুণে ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছে হাওড়া পুরসভায়। কলকাতা পুরসভাতেও বাড়ছে ডেঙ্গু। সেইসঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ম্যালেরিয়া। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার। কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৫ টি পুরসভাকে এ নিয়ে সতর্ক করল পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। প্রতি সপ্তাহে একবার করে সমীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে ডেঙ্গু ,ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এর মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। বৈঠকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি মশাবাহিত রোগ নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যান্য পুরসভায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেই কারণেই ২৫ পুরসভাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে আগামিদিনে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
সেইসঙ্গে মশার প্রাদুর্ভাব রুখতে ভেক্টর কন্ট্রোল দল গড়ে তোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পুরসভায় ৮ থেকে ১০ ভেক্টর কন্ট্রোল দল গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দল মশার লার্ভার উপর নজরদারি চালাবে এবং সেগুলোকে বিনষ্ট করবে। সাধারণত জমা জল এবং পুরসভায় থাকা জলাশয়গুলো থেকে মশার লার্ভা জন্ম নেয়। সেই কারণে জলাশয়গুলোর উপরেও নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। এর জন্য পুরসভাগুলিকে অতিরিক্ত নৌকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে দক্ষিন দমদম পুরসভার ১০ টি ওয়ার্ডে মারাত্মক আকার নিয়েছে ডেঙ্গু। এই সমস্ত এলাকাগুলোতে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর নির্দেশে কাজ হবে বলে ঠিক হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। জমা জল দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জঞ্জাল পরিষ্কারের উপরেও জোর দিতে বলা হয়েছে। শনিবার কাজের অগ্রগতি নিয়ে পুরসভাগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।