করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর সময় যাতে সংশোধনাগারের বন্দিদের একটা বড় অংশ পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বাড়িতে কাটাতে পারেন, এবার সেই চিন্তাভাবনাই করছে রাজ্য সরকার। এর আগে গত মে মাসে বেশ কয়েকজন বন্দিকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁদের সেপ্টেম্বর মাসে ফিরে আসার কথা। সেই সব বন্দিরা যাতে পুজো কাটিয়ে ফিরতে পারেন, এবার সেই চিন্তাভাবনাই করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, ‘এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আমরা চাই, করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর সময়টা সকলে পরিবারের সঙ্গে থাকুক। পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখুক।’ কারা দফতরের এক আধিকারিক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বন্দিদের বাড়ি পাঠানোর বিষয়টি নতুন নয়। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে বাছাই করা কিছু বন্দিকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পর তাঁরা আবার ফেরত এসেছিলেন। এবারেও তাই করা হয়েছে। গত ১০ মে বাছাই করা কিছু বন্দিদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এবারে পুজোর সময়টাও তারা যাতে বাড়িতে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই বাছাই করা কিছু বন্দিদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেয় রাজ্যের কারা দফতর। রাজ্যে ৬০টি সংশোধনাগার রয়েছে। সেখানে থাকা বন্দিদের মধ্যে ৩ হাজার বন্দিকে বাড়িতে যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কারা দফতর সূত্রে খবর, জেলে থেকেও বন্দিরা পুজো উপভোগ করতে পারেন। সব জেলেই ছোট করে দুর্গাপুজো হয়। এবারে বড় অংশের বন্দিদের পুজোর সময়ে বাড়িতে থাকার যদি অনুমতি দেওয়াও হয়, তাহলেও জেলে পুজোর আনন্দের কোনও ভাটা পড়বে না।