সম্প্রতি একের পর এক লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বাঘ। বন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক মাসে চারবার রয়্যাল বেঙ্গল হানা দিয়েছে। কখনও কুলতলি, কখনও কুমিরমারি, কখনও আবার গোসবায়। যা নিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, উদ্বেগ বাড়ছে বন বিভাগের। এভাবে জঙ্গল ছেড়ে দক্ষিণরায় লোকালয়ে ঢুকে পড়লে সে ক্ষেত্রে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার মানুষদের নিরাপত্তায় উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সুন্দরবনকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে বন দফতর।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, 'সুন্দরবনের ৬২ কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। এর জন্য খরচ ধার্য করা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা ।' ইতিমধ্যেই এ নিয়ে জাপানি সংস্থা জাইকাকে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যের বন দফতর।' বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে তারা এ নিয়ে খবর পাঠাবে।'
জানা যাচ্ছে, জাল দেওয়ার পরেও নিরাপত্তার জন্য তার বাইরেও নির্দিষ্ট দূরত্বে পাহারা দেবেন রক্ষীরা। কোনওভাবে জাল ছিঁড়ে বা জাল টপকে যাতে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে তার ওপর নজরদারি চালাবেন তাঁরা। জালের মধ্যে জঙ্গলে অবাধে ঘোরাফেরা করতে পারবে রয়্যাল বেঙ্গল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, 'গ্রামগুলোর সঙ্গে নেটিং করা হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে একটি গেট করা হবে। এর ফলে লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ আটকানো যাবে।' যদিও এর আগে সুন্দরবনে ফেসিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আমফান, ইয়াসের মতো ঝড়ের তাণ্ডবে সেগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।