পাত্রী দেখানোর নাম করে অপহরণ করা হল এক যুবককে। এরপর জোর করে বিয়েও দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। শেষপর্যন্ত অপহৃত যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অপহৃত যুবকের নাম মোমিনুর মণ্ডল। মোমিনূরের বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেওরশ্বর এলাকায়। ১৫ দিন আগে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিহারে বেড়াতে যান মোমিনুর। সেখানে তাঁকে পাত্রী দেখানোর নাম করে জোর করে অপহরণ করে রাখে কিছু দুষ্কৃতী। এরপর তাঁকে আটকে রেখে যুবকের বাড়িতে ফোন করে কিশোরী ও তার গ্যাংয়ের লোকজনরা। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। জানা যায়, টানা ১১ দিন আটকে রাখা হয় যুবককে। যখনই ওই যুবককে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়, তখনই তিনি ফোনের মধ্যে কাঁদতেন। ফোনের মধ্যেই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার আকুতি জানাতেন। পুলিশের দ্বারস্থ হয় গোটা পরিবার।
এরপরই বালুরঘাট থানার পুলিশ তদন্তে নামে। জানা যায়, যুবককে বিহারের কিষানগঞ্জে আটকে রাখা হয়েছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ যোগাযোগ করে কিষানগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে। বালুরঘাট থানার পুলিশ কিষানগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে যৌথ দল অভিযান চালায়। মোমিনুরকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। মোমিনুরের মা ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি। তাঁর কথায়, ‘ছেলের চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি। ছেলেকে উদ্ধার করে এনে দিয়েছে। আমি খুশি।’