পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দাম। কিন্তু বাড়ানো হচ্ছে না ভাড়া। তার প্রতিবাদে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টানা তিনদিন রাজ্যজুড়ে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হল। পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে পথে নামানো হবে না বাস।
বিভিন্ন বাস সংগঠনগুলির দাবি, লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন কোনও আয় হয়নি। উলটে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোটা টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। লকডাউনের পরে রাস্তায় বাস নামলেও যাত্রী সংখ্যা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সঙ্গে নিত্যদিন বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। কয়েক মাসের মধ্যে লিটারপিছু ডিজেলের দাম ১৪ টাকার মতো বেড়েছে। তার জেরে বাস চালিয়ে লাভ তো হচ্ছে, উলটে ক্ষতির পরিমাণ দিন-দিন বাড়ছে বলে দাবি করেছে বাস সংগঠনগুলি।
সেই পরিস্থিতিতে একাধিকবার বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে। যদিও বাস মালিকদের অভিযোগ, তাতে কোনও কাজ হয়নি। একইসঙ্গে ডিজেলের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় বাস চালাতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে। সেজন্য ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি সংগঠন।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, শেয়ার বাজারের মতো ডিজেলের দামে হেরফের করা হচ্ছে। লাগাতার বাড়ছে দাম। তার জেরে বাস পরিষেবা জারি রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না। তাঁর দাবি, কেন্দ্রকে ডিজেলের উপর জিএসটি বসাতে হবে। সঙ্গে ভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে ‘ইতিবাচক’ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই জোড়া দাবিতেই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি।
প্রাথমিকভাবে তিনদিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মিনিবাস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে যদি কাজ না হয়, তাহলে আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্মঘটে নামব।’