করোনায় স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২ মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়িতে। সোমবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল এক স্কুল শিক্ষকের। মঙ্গলবার ২ মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁর স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, তিন জনই প্রাণে বাঁচলেও মহিলার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। পাঁচ বছর বয়সী বড় মেয়ের একটি হাত বাদ গিয়েছে। দেড় বছর বয়সী ছোট মেয়ের একটি হাত ও একটি পা বাদ গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
নিহত শিক্ষকের স্কুলের প্রধান শিক্ষক অম্বুজ কুমার রায় জানিয়েছেন, শুক্রবার ৩৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষকের লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সোমবার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ততক্ষণে ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছেন ওই শিক্ষক। ফলে চিকিৎসকরা জানান তাঁকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। সোমবার দিবাগত রাত ১.৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পর বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত শিক্ষকের বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করে দেয় প্রশাসন। এরই মধ্যে সবার নজর এড়িয়ে ২ মেয়েকে নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে যান তাঁর স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিন নম্বর প্লাটর্মে তখন ঢুকছিল একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের সামনে মেয়েদের নিয়ে ঝাঁপ দেন তিনি। ট্রেনের গতি কম থাকায় জোরে ব্রেক কষেন চালক। ফলে প্রাণে বেঁচে যান তিন জন।
মহিলার কাছে কোনও সুইসাইড নোট না মেলায় কেন তিনি এমন কাজ করতে গেলেন তা প্রথমে বুঝতে পারেনি স্টেশনে হাজির জনতা। পরে আরপিএফ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এর পর স্পষ্ট হয় গোটা ছবি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তিন জনের অবস্থাই স্থিতিশীল।