ওড়িশা থেকে বিশাখাপত্তনমগামী একটি বাস উলটে গিয়ে বাংলার ছয় পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটির সকল যাত্রী হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেরই বাসিন্দা। এই আবহে বিধায়কের পাশপাশি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বাংলার এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলও।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওড়িশার গঞ্জম-কান্ধমাল সীমান্তের কলিঙ্গ ঘাঁটিতে একটি পর্যটকবাহী বাস উলটে যাওয়ার জেরে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ছয়জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন সুপ্রিয়া দেঁড়ে, সঞ্জিত পাত্র, রিমা দেঁড়ে, মৌসুমী দেঁড়ে এবং বর্নালি মান্না। জানা গিয়েছে, ৪০ জন পুরুষ, ৩০ জন মহিলা এবং কিছু শিশু সহ প্রায় ৭৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ফুলবনি থেকে বিশাখাপত্তনমে যাচ্ছিল।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মমতা এদিন টুইট বার্তায় লেখেন, ‘এটা জেনে দুঃখিত হলাম যেপশ্চিমবঙ্গথেকে ঘুরতে গিয়ে ছ’জন মারা গিয়েছেন।আমাদের সরকার ওড়িশার প্রশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেছে এবং যোগাযোগ করে চলেছে।’ মমতা জানান, উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক ছাড়াও রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্তারা যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ভঞ্জনগর থানার পরিদর্শক ধীরেশ দাস ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাসের চালক পাহাড়ি রাস্তার একটি বাঁকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারায়। ব্রেক কষলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বাসটি উলটে যায়। যার জেড়ে ৬ জন পিষ্ট হয়ে মারা যায়। কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত এবং ১৬ জন সামান্য আঘাত পেয়েছে।’