প্রায় তিন মাস পর বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ নামল ১,৫০০-এর নীচে। সেইসঙ্গে অনেকটা কমেছে সংক্রমণের হারও। তারইমধ্যে অবশ্য উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছুঁয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, বুধবার ১,৪৯৮ জন নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। গত ১ এপ্রিল শেষবার বাংলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,৫০০-এর নীচে ছিল। সেদিন ১,২৭৪ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। সেই স্বস্তির খবরের মধ্যেই বুধবার রাজ্যে সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২.৭৪ শতাংশ। যা মঙ্গলবার তিন শতাংশে ছিল। বুধবার হাওড়া (১০৩), কলকাতা (১৩৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (১৪৭), দার্জিলিং (১৫০) এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (১৫৪) দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। মঙ্গলবার সেখানে ১৫৯ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। সবমিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৯৯,৭৮৩।
মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সুস্থ রোগীর সংখ্যা কমলেও তা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা বেশি। তার ফলে কমেছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১,৯৮০ জন সেরে উঠেছেন। তার ফলে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩১ কমে গিয়েছে। আপাতত রাজ্যে ২০,৫৮৫ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব আছে। আর মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৬১,৪৯০ (৯৭.৪৫ শতাংশ)।
দৈনিক আক্রান্ত এবং সুস্থ রোগীর মতো আশার আলো দেখিয়েছে প্রাণহানির সংখ্যাও। মঙ্গলবারের থেকে বুধবার রাজ্যে কম সংখ্যক মানুষের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৯ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার যে সংখ্যাটা ছিল ৩৫। সবথেকে বেশি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সাতজন মারা গিয়েছেন কলকাতায়। ১৪ টি জেলায় করোনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। সেই জেলাগুলি হল - আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান এবং হাওড়া। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭,৭০৮।