বছরখানেক আগে মন্দিরে গিয়ে 'বান্ধবী' সুতপা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিল। বহরমপুরে কলেজছাত্রীর খুনের ঘটনার জেরায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী এমনই তথ্য জানিয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। সেইসঙ্গে পুলিশের দাবি, যেখানে সুতপাকে খুন করা হয়েছে, সেখানে এক মাস ধরে ‘রেইকি’ চালিয়েছিল সুশান্ত।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে তরুণী খুনে গ্রেফতার যুবক, সামসেরগঞ্জ হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল
সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুর গোরবাজারে কুপিয়ে সুতপাকে খুন করা হয়। খুনের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন সুতপা। তাঁকে একের পর এক কোপ মারছেন সুশান্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও সুতপা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে সুশান্ত। পরে রাত ১০ টা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সুশান্তের ফোন থেকে খুনের একাধিক ভিডিয়ো মিলেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সুতপার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল সুতপাকে। কিন্তু অপর একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছিলেন। তাই 'প্রতিশোধ' নিতেই সুতপাকে খুন করে বলে জেরায় স্বীকার করেছে সুশান্ত।
আরও পড়ুন: Murder:বহরমপুরে তরুণী খুনে অভিযুক্তের নাগাল পেতে কীভাবে অপারেশন চালিয়েছিল পুলিশ?
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সুশান্ত দাবি করেছে যে খুনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল। গোরাবাজারের যেখানে সুতপাকে খুন করা হয়, সেখানে মাসখানেক আগে থেকে 'রেইকি' চালাচ্ছিল। খুনের পর পালানোর জন্য ব্যাগে জামাও রেখেছিল। সঙ্গে ছিল নকল বন্দুক এবং ছুরি। যে ছুরি বারবার কুপিয়ে খুন করেছে সুতপাকে। তারপর লাক্সারি ট্য়াক্সিতে উঠে রক্তভেজা জামা পালটে নিয়েছিল। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে তিনবার গাড়িও পালটেছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সামশেরগঞ্জ থেকে মালদহগামী একটি বাস থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে বহরমপুর জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা।