স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বন্দি করে বিক্ষোভ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। কিন্তু প্রধান শিক্ষককের অনড় অবস্থানে বাবা-মায়ের সামনে মুচলেকা লিখে ফেরত নিতে হল ফোন। ঘটনা নদিয়ার বেতাইয়ের। প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর পাল বলেন, স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনও আচরণ বরদাস্ত করব না।
নদিয়ার বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের শনিবার ছিল স্কুল জীবনের শেষ দিন। এর পর শুরু হবে তাদের উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। তার আগে শনিবার স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। প্রার্থনার সময় মোবাইল ফোন হাতে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে দেখা যায় অনেককে। ক্লাস শুরুর আগে শ্রেণিকক্ষে অনেক ছাত্র সেলফি তুলতে থাকেন। খবর পেয়ে ক্লাসে গিয়ে মোবাইল ফোনগুলি নিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর পাল। সঙ্গে উপস্থিতির হার কম থাকায় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে ক্লাস থেকে বার করে দেন। এর পরই বহিষ্কৃতদের মধ্যে একদল অমার্জিত ছাত্র স্কুলের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের মোবাইল ফোন ফেরত দিতে হবে। সঙ্গে ক্লাস করার অনুমতি দিতে হবে প্রধান শিক্ষককে। তাদের অভিযোগ, স্কুলে ফোন নিয়ে আসা বারণ। কিন্তু স্যার বলেছিলেন শেষ দিন ফোন ব্যবহার করা যাবে। তাই আমরা নিজেদের স্কুল জীবনের স্মৃতি ফোনে ধরে রাখছিলাম। তখনই স্যার এসে ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করেন।
খবর পেয়ে স্কুলে যান অভিভাবকরা। স্কুলে পৌঁছন পরিচালন সমিতির সদস্যরাও। তাদের দেখে বিক্ষোভ থামান ছাত্ররা। এর পর অভিভাবকদের নির্দেশে লিখিত মুচলেকায় দোষ স্বীকার করে ছাত্ররা। তার পর তাদের ফোনগুলি ফেরত দেন প্রধান শিক্ষক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘স্কুলে ছাত্রদের মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষিদ্ধ। শৃঙ্খলাভঙ্গ করে শনিবার কয়েকজন স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল। এদের কয়েকজনকে সারা বছর স্কুলে দেখা যায়নি। তাই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাদের মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে অভিভাবকদের দেখা করতে বলেছিলাম। অভিভাবকরা এসে দুঃখপ্রকাশ করায় তাদের ফোন ফিরিয়ে দিয়েছি।’