এখন বাংলায় মেগা ইভেন্ট—‘বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন’। শিল্পজগতের ‘নক্ষত্র’রা আজ ভিড় করেছেন বাংলার মাটিতে। বিনিয়োগ, শিল্পের বিকাশ, লগ্নির ফিরিস্তি এখন হট কেকের মতো চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক থেকে শুরু করে ভুটানের রাজা, মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল এক টানটান মঞ্চ। সেখানে উঠে আসছে বাংলাকে আরও উন্নতি কেমন করে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা। বিনিয়োগ করলে রাজ্য সরকার কেমন সুবিধা দেবে তা নিয়ে চর্চা চলছে। আর সেখানেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যা আরও চর্চায় চলে এল।
কেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে ডাকতে হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই সব কথা মানতে নারাজ রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি তো শিল্পপতি বা উদ্যোগপতি নন। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন এই বিধায়ক। আর তার এই পোস্ট নিয়ে উত্তরবঙ্গ তো বটেই কলকাতাতেও শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের মতে, আমন্ত্রণ না পাওয়া উত্তর দিনাজপুরের জন্য বড় ধাক্কা। রায়গঞ্জের বিধায়ক এমনটা লিখবেন সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কারণ বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পর থেকে একের পর এক দায়িত্ব এবং পদ দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। সেখানে এমন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে’, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী
এখন বিষয়টি হচ্ছে, এখানে আমন্ত্রণ পেলে কি বিধায়ক বিনিয়োগ করতেন? সেটা যদি না হয় তাহলে উত্তর দিনাজপুর বঞ্চিত বলে দাবি করছেন কেন? এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী লিখেছেন, ‘আমি ডিএমকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমি স্পষ্ট জানতে চেয়েছিলাম, আমার কাছে তো কোনও কার্ড আসেনি। আপনাদের কাছে কি এসেছে? কিন্তু উনি খোঁজ নিয়ে জানেন আমন্ত্রণপত্র আসেনি। উত্তর দিনাজপুর সেক্ষেত্রে আজ বঞ্চিত হল। এখানকার উদ্যোগপতিরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলে সেটা জেলার জন্য ভাল হতো। আগে যখন আমন্ত্রণ পেয়েছি তখন কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ডেলিগেট হিসাবে গিয়েছিলাম। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসাবে বলতে পারি, যা হল তা ঠিক হল না।’
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আজ শুরু হলেও তা আগামীকাল শেষ হয়ে যাবে। এখানে বিশিষ্ট শিল্পপতি থেকে শুরু করে উদ্যোগপতি, ভুটানের রাজা–মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতরা এবং অনেক বিদেশি বিশিষ্টজন এখানে উপস্থিত আছেন। ৪০টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি–সহ মোট ৫ হাজার বিশিষ্ট শিল্পপতি থেকে শিল্প বিশেষজ্ঞরা এখানে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। বাংলার শীর্ষ আমলারা এখানে আছেন। বণিকসভার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সেখানে কৃষ্ণ কল্যাণীর মতো বিধায়কের ‘উষ্মা’ তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াল। তবে এই কাজের জন্য দল ব্যবস্থা নিতেই পারে।