খাতায় কলমে আসন সংখ্যা বাড়েনি ঠিকই। তবে শক্তি অটুট রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। একজন বিধায়ক ইস্তফা দেন। ২ জন বিধায়কের মৃত্যু হয়। ফলে তৃণমূলের ৩টি আসন কমে যায়। তবে ভবানীপুরের উপনির্বাচন ও জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে নির্বাচনের পর তৃণমূল সেই পুরনো জায়গাতেই ফিরে এসেছে। ২১৩–ই ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। এথন দেখার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হয় কিনা।
রবিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ও সামশেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম জয়লাভ করেন। এই তিনটি আসনে জিতলেও তৃণমূলের আসন সংখ্যা কিন্তু বাড়েনি। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী হলেও বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মৃত্যু হয় খড়দহের জয়ী কাজল সিনহার। একইসঙ্গে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর জয়লাভ করলেও বিধায়ক হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। এই তিন আসন গত ২ মে–র ফল ঘোষণার পরই খালি হয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২১৩ থেকে কমে হয় ২১০টি আসনে। এবার ফের ৩টি আসনের সকটিতে জয়লাভ করায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা এখন ২১৩টি আসনেই দাঁড়াল।
ইতিমধ্যে পুজোর পরে আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪টি কেন্দ্র খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবায় উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে তৃণমূলের হাতে মোট তটি আসন থাকবে, আগামী ২ নভেম্বরের ফল ঘোষণার পরই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।