মৃত্যুর আগে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করে চিঠি লিখেছিলেন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। বকটুই কাণ্ডের ঘটনায় আদালত যখন সিবিআইয়ের তদন্তের নির্দেশ দিল, এরপরই ভাদুর লেখা সেই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বগটুইয়ে খুন হন উপপ্রধান ভাদু শেখ। ভাদু খুন হওয়ার পরই ওই এলাকায় একের পর এক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের।
বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের লেটারহেডের প্যাডেই এসডিপিও–কে চিঠি লেখেন উপপ্রধান ভাদু শেখ। ভাদু তাঁর চিঠিতে লেখেন, কিছুদিন আগেই তাঁর ভাই বাবর শেখ খুন হয়েছিলেন। সম্প্রতি অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়েছেন। তারপরই আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে তাঁরা। এরপরই ভাদু জানান, ‘আমি আশঙ্কা করছি, আমার ভাইয়ের মতো আমাকেও মেরে ফেলতে পারে ওরা। আমি একজন জন প্রতিনিধি। বড়শালের উপপ্রধান। আমাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে সুবিচার দিন।’
এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়া সত্বেও কেন প্রশাসনের তরফে ভাদুকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হল না। উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ডের পর থেকে রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রামপুরহাট থানার আইসিকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১২ জন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশকে আরও সক্রিয় ও সজাগ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।