পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের শিরোনামে ভাঙড়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। ছুড়ল বোমা। খাটের নীচে লুকিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন তৃণমূল নেতা ফজলে করিম। এই ঘটনায় উঠে আসছে আরেক তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের নাম।
মঙ্গলবার গভীর রাতে তখন ঘুমাচ্ছিলেন ফজলে করিম। ঘরের দরজা জানলা ছিল বন্ধ। যে খাটে তিনি শোন তার পাশে বন্ধ জানলার ওপার থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একের পর এক ১২টি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। খাটের নীচে লুকিয়ে পড়েন ফজলে করিম। দুষ্কৃতীরা ফিরে গেলে তিনি দেখেন, জানলা ও খাটের একাধিক জায়গায় রয়েছে গুলির চিহ্ন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুলির খোল উদ্ধার করে তারা। মোট ১২টি গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা।
ফজলে করিম বলেন, ‘তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় আমার ওপর হামলা হয়েছে। কাইজার আহমেদ দিনের পর দিন এলাকায় চরম অত্যাচার চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে।’ এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের এক নেতা বলেন, শীর্ষস্তরে সব জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এলাকায় কাইজারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে একথা সত্য। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।