আবার উত্তপ্ত ভাঙড়। ভাঙড়ে এক সবজি ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চলল দেদার গুলি। আর তার জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে ভর্তি করা হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শনিবার বেশি রাতে তিনি সবজি কিনতে বেরিয়ে ছিলেন। তখন তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। উত্তর কাশিপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তিনজন দুষ্কৃতী জড়িত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই সবজি ব্যবসায়ী। তাঁকে প্রথমে ঘিরে ধরা হয়। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চলতে শুরু করে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীর নাম চিত্ত ঘোষ। তিনি ভগবানপুর অঞ্চলের বাসিন্দা। শনিবার বেশি রাতে তিনি গাবতলা বাজারে সবজি কিনতে যান। তখন উত্তর কাশিপুর বেলেদানা এলাকায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায় তিন দুষ্কৃতী। তাঁর ডান হাতে গুলি লেগেছে। আর তাতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সবজি ব্যবসায়ী চিত্ত ঘোষ। দ্রুত ওই ব্যবসায়ীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ১৬ হাজার টাকা লুট করে স্কুটি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: নিউটাউনের পর জলপাইগুড়ি, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করল টোটোচালক, প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে ফেরত
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। কেন ওই ব্যবসায়ীর ওপর হঠাৎ করে গুলি চলল? অত রাতে ব্যবসায়ী কি কাউকে দেখতে পেয়েছিলেন? এরা কি পুরনো শত্রু? ব্যবসায়ী কাউকে চিনতে পেরেছেন? এটা কি ব্যবসায়িক কারণে হামলা? নাকি লুঠপাট করতেই হামলা? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পুরনো কোনও শত্রুতা আছে কিনা সেটাও জানার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এই ঘটনার পর থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
তাছাড়া ওই ব্যবসায়ী ইদানীং কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলছিলেন না। খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। নিজের কাজটুকু করে বাড়ি ফিরে আসতেন। তাঁর সঙ্গে কাদের কথা হতো? সেটা জানতে ব্যবসায়ীর মোবাইল ট্র্যাক করা হচ্ছে। তাঁকে কেউ হুমকি দিচ্ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনজন দুষ্কৃতী একসঙ্গে মারতে আসার অর্থ সুপারি কিলারের ঘটনা নয় তো! সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। রবিবার সকালে ওই ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। রাতে গুলি চলার পর থমথমে বাতাবরণ।