এবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে ঘিরে ধরে গো–ব্যাক স্লোগানও দেয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ভাঙড় থানার সামনে। পরে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হটিয়ে দিয়ে বিধায়ককে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেন। ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন এলাকার করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভাঙড়ে এসেছিলেন বিধায়ক৷ প্রথমে ভাঙড়–২ ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন বিধায়ক। এরপর তিনি যান ভাঙড় থানায়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে আসতেই গো–ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন একদল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। নওশাদ গাড়িতে উঠতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। গাড়ির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। পরে অবশ্য ভাঙড় থানার পুলিশ উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে ভাঙড় বিধানসভার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘ভাঙড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ আমার গাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা৷ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা।’
তবে বিধায়কের এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা এই বিষয়ে ভাঙড়–১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদ বলেন, ‘নওশাদের অনুগামীরা এলাকার সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে৷ আজ আক্রান্তরাই তাঁকে ঘিরে গো–ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।’