DA-র দাবিতে শিক্ষক - শিক্ষিকারা কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করায় স্কুলে ঢুকে ধমকানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলি দুষ্কৃতি আরাবুল ইসলামের মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে। অভিযোগ, সাবিরুল ইসলাম নামে ওই তৃণমূল নেতা দলবদল নিয়ে ভাঙড় হাই স্কুল ও ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকে মাস্টারমশাই ও দিদিমণিদের ধমকান। নিজেরে অভিভাবক বলে দাবি করে জোর করে স্কুলে ঢুকে, শিক্ষক – শিক্ষিকাদের অপমানজনক কথা বলেন তাঁরা।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কলেজের অধ্যাপিকা জগ ছুড়ে বিখ্যাত হওয়ার পর এবার সেই পথেই নিজেদের সমৃদ্ধি খুঁজছেন আরাবুলের চ্যালাব্যালারা। বকেয়া DA-র দাবিতে গোটা রাজ্যের মতো কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছেন ভাঙড়ের সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারাও। সেই আন্দোলন ভাঙতে মঙ্গলবার দুপুরে জোর করে ভাঙড় হাই স্কুল ও ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন সাবিরুল ইসলাম নামে এক তৃণমূল নেতা। সঙ্গে ছিল ১০ – ১৫ জন দুষ্কৃতী। স্কুলে ঢুকে কেন ক্লাস হচ্ছে না তা নিয়ে হম্বিতম্বি শুরু করে তারা। ক্লাস না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করে। উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে সরকারের বদনাম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তারা।
ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ের বড়দিদিমণি সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, কোনও অনুমতি ছাড়াই দলবল নিয়ে মেয়েদের স্কুলে ঢুকে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। কেন স্কাল হচ্ছে না তা নিয়ে ধমকাতে শুরু করেন।
অভিযুক্ত সাবিরুল বলেছেন, আমার মেয়ে ওই স্কুলে পড়ে। ২ দিন ধরে স্কুলে কেন ক্লাস হচ্ছে না তা জানতে গিয়েছিলাম। কাউকে হুমকি দিইনি।
প্রশ্ন হল, মেয়ে না হয় ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা সেখানে মাতব্বরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাঙড় হাই স্কুলে কী করতে গিয়েছিলেন তিনি? এব্যাপারে অবশ্য প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ সরকার নীরব থাকাই সাব্যস্ত করেছেন।